লালসালু - বই ও সিনেমা


 

লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত একটি উপন্যাস। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী সৃষ্টি।সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এই উপন্যাসের জন্যে বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।

 

এর পটভূমি ১৯৪০ কিংবা ১৯৫০ দশকের বাংলাদেশের গ্রামসমাজ হলেও এর প্রভাব বা বিস্তার কালোত্তীর্ণ । মূলত গ্রামীণ সমাজের সাধারণ মানুষের সরলতাকে কেন্দ্র করে ধর্মকে ব্যবসার উপাদানরূপে ব্যবহারের একটি নগ্ন চিত্র উপন্যাসটির মূল বিষয়। উপন্যাসটির রচনাকাল ১৯৪৮ সাল। এটি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস। এটি পরে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

 

লালসালু প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে ঢাকার কমরেড পাবলিশার্স থেকে।১৯৬০ সালে কথাবিতান প্রকাশনী বের করে দ্বিতীয় সংস্করণ। পরে নওরোজ কিতাবিস্তান ২০০৬-এ এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশন ২০১২ সালে এটি প্রকাশ করেছে।

 


১৯৬০ সালে লালসালুর উর্দু অনুবাদ করাচি থেকে প্রকাশিত হয় Lal Shalu নামে। অনুবাদক ছিলেন কলিমুল্লাহ।

 

১৯৬১ সালে লালসালুর ফরাসী অনুবাদ L Arbre sans racines প্রকাশ করে প্যারিসের Editions du Seuil প্রকাশনী। অনুবাদ করেছিলেন ওয়ালীউল্লাহর সহধর্মিণী অ্যান-মারি-থিবো। ১৯৬৩ সালে এর পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

 

লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ করেন অ্যান-মারি-থিবো, জেফ্রি ডিবিয়ান, কায়সার সাঈদ এবং মালিক খৈয়াম। তবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ নিজে এতে সম্প্রসারণের কাজ করেন। অনুবাদটি Tree without Roots নামে প্রকাশ করে লন্ডনের Chatto and Windus Ltd., ১৯৬৭ সালে। পরবর্তীতে উপন্যাসটি জার্মান ও চেক ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।





#"চলচ্চিত্র "

 

লালসালু তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর বিখ্যাত লালসালু উপন্যাস অবলম্বনে ২০০১ সালে এটি তৈরি হয়েছে। ছবিটি একাধিক জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ।

 

চলচ্চিত্র সংক্ষিত কাহিনী

লালসালু একটা সামাজিক সমস্যামূলক বাঙালি চলচ্চিত্র, এর কাহিনী হলঃ যুগ যুগ ধরে শেকড় গাড়া কুসংস্কার ,অন্ধবিশ্বাস ও ভীতির সংগে জীবনাকাংখার দ্বন্দ্ব।গ্রামীণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ এর প্রতারণাজাল বিস্তারের মাধ্যমে, সে কিভাবে সমাজের কর্তা ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠে, সেই কাহিনীই ফুটে উঠেছে এই চলচ্চিত্রে। তার এই সর্বগ্রাসী আত্মচেতনায় সে সঙ্গী করে গ্রামের মাতব্বরকেও। গ্রামে যাতে সুষ্ঠু শিক্ষার প্রসার ঘটতে না পারে, তাই শিক্ষিত যুবক আক্কাসের স্কুল বানানোর প্রয়াস সে কৌশলে দূর করে, এভাবে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য সে কুসংস্কার, শঠতা ও অন্ধবিশ্বাসের আশ্রয় নেয়, এভাবে কাহিনীর শেষ দিকে ২য় স্ত্রী জমিলার দৃপ্ত চেতনায় মজিদ তার আত্ননিয়ন্ত্রণ এর জায়গাটি খুজে পায়, এবং অনুশোচনায় জর্জরিত হলেও গড়ে তোলে তার মিথ্যার সাম্রাজ্য। এই চলচিত্রে গ্রাম্য মাজার সংস্কৃতির আগ্রাসনকে গভীর চেতনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।



আমাদের সাথে যুক্ত হোন:

১। Group: https://www.facebook.com/groups/1333582920365246/?ref=share

। পেইজ: https://www.facebook.com/bookfestival2020/)

৩। ইমেইল: info.bookfestival@gmail.com

Comments

Popular posts from this blog

মুক্তিযুদ্ধের বই - ০৪

মুক্তিযুদ্ধের বই - ০১

মুক্তিযুদ্ধের বই - ০২